ঈদের আযান ও ইকামত দিতে হয় কি ?
ইবনু ‘আববাস (রাযি.) ও জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযি.) বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের সালাতে কিংবা ‘ঈদুল আযহার সালাতে আযান দেয়া হত না। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯০৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৯১০)
Ata told me that Ibn `Abbas and Jabir bin `Abdullah, had said, "There was no Adhan for the prayer of `Id-ul-Fitr and `Id-ul-Aqha
و أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالاَ لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَلاَ يَوْمَ الْأَضْحَى
(সহীহ বুখারী তাওহীদ-৯৫৯) রাবী বলেন, আমাকে ‘আতা (রহ.) বলেছেন যে, ইবনু যুবায়র (রাযি.) এর বায়‘আত গ্রহণের প্রথম দিকে ইবনু ‘আববাস (রাযি.) তাঁর কাছে এ ব’লে লোক পাঠালেন যে, ‘ঈদুল ফিত্রের সালাতে আযান দেয়া হতো না এবং খুৎবাহ হল সালাতের পরে।
(সহীহ বুখারী তাওহীদ-৯৬০) ( ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৯১০)
Ata told me that during the early days of Ibn Az-Zubair, Ibn `Abbas had sent a message to him telling him that the Adhan for the `Id Prayer was never pronounced (in the life time of Allah's Messenger (ﷺ)) and the Khutba used to be delivered after the prayer
قَالَ وَأَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي أَوَّلِ مَا بُويِعَ لَهُ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ بِالصَّلاَةِ يَوْمَ الْفِطْرِ إِنَّمَا الْخُطْبَةُ بَعْدَ الصَّلاَةِ.
(সহীহ মুসলিম ইফাঃ-১৯২১) মুহাম্মাদ ইবনু নুমায়র (রহঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ঈদের দিন সালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খূতবার পূর্বে প্রথমে সালাত আরম্ভ করলেন তাতে আযান ও ইকামত ছিল না। তারপর তিনি, গায়ে হেলান দিয়ে দাড়ালেন এবং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করার জন্য আদেশ দিলেন। তার (আল্লাহর) অনুগত্যের প্রতি উৎসাহিত করলেন। লোকদের ওয়ায-নসিহত করলেন। তারপর মহিলাদের নিকট গেলেন। তাদের উদ্দেশ্যে ওয়ায-নসীহত করলেন এবং বললেন, সাদাকা কর। কেননা তোমাদের অধিকাংশ হবে জাহান্নামের অধীন। মহিলাদের মধ্যে থেকে একজন মহিলা দাড়াল। যার উভয় গালে কাল দাগ ছিলা সে বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! তা কেন? তিনি বললেন। তোমরা বেশী অভিযোগ করে থাকো তোমরা উপকারকারীর উপকার অস্বীকার কর। রাবী বলেন তখন মহিলাগণ তাদের অলংকারাদি সাদাকা স্বরুপ বিলাল (রাঃ) এর কাপড়ে তাদের আংটি, কানের দুল ইত্যাদি ফেলতে শুরু করল।
(সহীহ মুসলিম ইফাঃ-১৯২২)
মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) ও জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন- ফিতরের দিবস ও আযহার দিবসে আযান দেয়া হত না। ইবনু জুরায়জ (রহঃ) বলেন, কিছুক্ষণ পর আমি তাকে [আতাকে] এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে বললেন যে, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) আমার কাছে রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছেন যে, ঈদুল ফিতরের সালাতের জন্য কোন আযান নেই। ইমাম (হুজরা থেকে) বের হওয়ার মূহৃর্তেও নয়, পরেও নয়। ইকামতও নেই, নেদা-আহবান কিছুই নেই। সেদিন আহবানও নেই, ইকামতও নেই।
মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) ও জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন- ফিতরের দিবস ও আযহার দিবসে আযান দেয়া হত না। ইবনু জুরায়জ (রহঃ) বলেন, কিছুক্ষণ পর আমি তাকে [আতাকে] এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে বললেন যে, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) আমার কাছে রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছেন যে, ঈদুল ফিতরের সালাতের জন্য কোন আযান নেই। ইমাম (হুজরা থেকে) বের হওয়ার মূহৃর্তেও নয়, পরেও নয়। ইকামতও নেই, নেদা-আহবান কিছুই নেই। সেদিন আহবানও নেই, ইকামতও নেই।
No comments